দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক: তোমাদের অনেকের নিশ্চয় গোয়েন্দা হতে ইচ্ছে করে। করতেই পারে! গোয়েন্দা হলে কত রহস্য ভেদ করা যায়। মজার মজার কত কাণ্ড ঘটে। তাই নিশ্চয় গোয়েন্দা কাহিনী পড়তে ভালবাসো। আজ তোমাদের বলব এমন একটা চলচ্চিত্রের কথা। গোয়েন্দাগিরি নিয়ে চলচ্চিত্র।

অনেকদিন আগের কথা। সেই ১৯৮০ সাল। নির্মিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী ’। বাদল রহমান পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি সরকারি অনুদানে নির্মিত হয়েছিল।

এ ছবির কাহিনী বিদেশি গল্প থেকে নেয়া। গল্পটি লিখেছেন জার্মান লেখক এরিক কাসনার । বিশ্বের নানা দেশে এমিলকে নিয়ে ছবি নির্মিত হয়েছে। এমনকি তাকে নিয়ে ডাকটিকেটও ছাপানো হয়েছিল।

ছবিতে দেখা যায় খেলাঘরের ‘মুক্ত পাখিকে বন্দী কোরো না’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে খুলনার ছেলে এমিল ঢাকায় পুরস্কার নিতে আসে। ট্রেনে তার সাথে থাকা ৫০০ টাকা হারিয়ে ফেলে। টাকাটা নানুর জন্য মা দিয়েছিল। এই প্রথম একা কোথাও এসেছে এমিল। বুঝতেই পারছ কিছুই চেনে না এমিল। তারপরও তার কিন্তু অনেক সাহস। যে করে হোক টাকা উদ্ধার করবেই। যে কথা সে কাজ। সন্দেহ হয় হ্যাটপরা একজনকে। তার পিছু নেয় এমিল।

এরপর শুরু হয় তার অভিযান। অভিযানে তার সঙ্গী হয় ঢাকার একদল বিচ্ছু পিচ্চি ও তাদেরই একজনের মামা। এমিল কি শেষ পর্যন্ত টাকা উদ্ধার করতে পারবে? নাকি সে অন্য কোন ফাঁদে জড়িয়ে পড়বে? শেষ কাহিনী জানতে হলে তোমাদের অবশ্যই চলচ্চিত্রটি দেখে ফেলতে হবে। ছবিটি ডিভিডিতে কিনতে পাওয়া যায়। আজই আব্বুকে বলো।

সেই ছবিটির একটি গানের কিছু অংশ শোনো :‘আমরা যাব অভিযানে সঙ্গে যাবে কে, এই তো আমার বীর বাহিনী কোমর বেঁধেছে’। কেমন লাগছে? বেশ ভালো- তাই না।

ছবিটি সেরা চলচ্চিত্র (প্রযোজক বাদল রহমান), সেরা পার্শ্ব-চরিত্র অভিনেতা (গোলাম মুস্তাফা ), সেরা শিশুশিল্পী (টিপটিপ), সেরা চিত্রগ্রাহক ( আনোয়ার হোসেন) ও সেরা সম্পাদনা (বাদল রহমান ) বিভাগে জাতীয় পুরষ্কার পায়। অভিনয় করেছেন গোলাম মোস্তফা, সারা যাকের, মাস্টার পার্থ, রেয়াজ শহীদ, এটিএম শামসুজ্জামান, শর্মিলী আহমেদ, শিপলু এবং আরো অনেকেই।

(দিরিপোর্ট২৪/ডব্লিউএস/এমডি/অক্টোবর ২৪, ২০১৩)